বঙ্গে বাস্কারভিল
== এই ব্লগে প্রদর্শিত অপরের রচনাংশ, স্থিরচিত্র বা অলংকরণের কপিরাইট আমাদের নয় । ==
পোস্টের বক্তব্য স্পষ্টতর করতে এগুলি সাজানো হচ্ছে । কোনও ব্যবসায়িক স্বার্থে নয় ।
BlOGUS ব্লগে ‘বঙ্গে বাস্কারভিল’ । |
স্যর আর্থার কন্যান ডয়েল । |
শার্লক হোমস শ্রেষ্ঠ স্ল্যুথ
মিস্ট্রি-মাশুক মানে এ ট্রুথ ।
সৃষ্টি করেন স্যর ডয়েল ১
কেস-বাক্সের সেরা জুয়েল :
‘দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস’ ২
কুকুর ধরল কত অবতার
BlOGUS দিচ্ছে আভাস তার ।
মিস্ট্রি-মাশুক মানে এ ট্রুথ ।
সৃষ্টি করেন স্যর ডয়েল ১
কেস-বাক্সের সেরা জুয়েল :
‘দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস’ ২
রহস্যাসনে আসীন প্রিন্স ।
হাউন্ডের হাড়-হিম হাসি
অনুবাদ করে বঙ্গভাষী কুকুর ধরল কত অবতার
BlOGUS দিচ্ছে আভাস তার ।
_________________________________________________________
পাঁচকড়ি দে । |
বাংলা
রহস্যরচনার
সেই আদ্যিকালে
১৯০৫ সালে
শার্লক-কে বঙ্গ-বক্ষে
১৯০৫ সালে
শার্লক-কে বঙ্গ-বক্ষে
ডেকে আনলেন কে ? ৩
তিনি পাঁচকড়ি দে ৪ ।
তিনি পাঁচকড়ি দে ৪ ।
পাঁচকড়ি দে-র ‘গোবিন্দরাম’
গ্রন্থের বিজ্ঞাপন ।
হোমসীয় কায়দায় ‘কনসালটিং ডিটেকটিভ’ শব্দযুগল লক্ষণীয় । |
ভুলেছে বাংলা সাহিত্য
প্রাচীনতম সে হোমস-এর নাম :
গোবিন্দরাম আদিত্য ৫ ।
‘গোবিন্দরাম’ উপন্যাসের ভূমিকায় পাঁচকড়ি
দে-র ঋণস্বীকার ।
|
‘স্কারলেট’ ৫ আর ‘সাইন’ ৫ মিশে গেল
একই উপন্যাসে –
‘গোবিন্দরাম’ ৫ আখ্যায়িকায় বিচিত্র বিন্যাসে ।
'দ্য
হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস'-এর
ছায়ায় রচিত পাঁচকড়ি দে-র ‘মৃত্যু-বিভীষিকা’ গ্রন্থের বিজ্ঞাপন ।
|
‘হাউন্ড’ ছায়ায় পরে এসে যায় ‘মৃত্যু-বিভীষিকা’
অনল বরণ কুকুর ! সে কী মিথ্যে মরীচিকা ?
সমাপ্তি অনুমেয় ।
গোবিন্দ-গুলিতে গতায়ু ধুলিতে শয়তান সারমেয় ।
_________________________________________________________
প্রেমাঙ্কুর আতর্থী |
১৯২৭-এ
বঙ্গ-বাতাসে ‘জলার পেত্নী’ ৬ কাঁদে
বাস্কারভিল
বীভৎসতা ঢালাই নতুন ছাঁদে ।
আতর্থী
প্রেমাঙ্কুর
মূল কিসসার
কুকুরটিকে করে দিলেন দূর ।
প্রেমাঙ্কুর
আতর্থী প্রণীত ‘জলার
পেত্নী’ ধারাবাহিকের শেষ কিস্তি,
‘মৌচাক’, অগ্রহায়ণ ১৩৩৪ । |
প্রতি কিস্তিতে দুনো মিস্ট্রিতে মজে ‘মৌচাক’ গ্রাহক
একা পিশাচীতে
নেইকো রক্ষে, ষণ্ড সহায়ক ।
শার্লক-জীবানন্দ
প্রাণী,
প্রেতিনী-র প্রাণনাশ করে ঘোচান সকল ধন্ধ ।
_________________________________________________________
_________________________________________________________
কুলদারঞ্জন রায় ।
|
ভাষান্তরে
যুগান্তর আনেন সে কোন্ জন ?
সত্যজিৎ-এর
‘ধনদাদু’ কুলদারঞ্জন ৭ ।
'দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস'-এর অনুবাদ, কুলদারঞ্জন রায়-এর ‘বাস্কারভিল কুক্কুর’ । |
‘বাস্কারভিল কুক্কুর’ গ্রন্থে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি । |
বিশ্বস্ত বঙ্গানুবাদ, নয় ছায়ানুসরণ
সঙ্গে সিডনি প্যাজেট ২ -কৃত আদি অলংকরণ ।
বঙ্গবাসী প্রথম পেলেন মূল রচনার স্বাদ
’৩৪ সালে ‘বাস্কারভিল কুক্কুর’ অনুবাদ ।
_________________________________________________________
হেমেন্দ্রকুমার রায় । |
হোমস-অনুবাদে হেমেন
রায় ৮
আনেন ‘ভারত’ ৯ গোয়েন্দায় ।
রূপান্তরের মন্তরে
চারের চিহ্ন বদলে গেল
রূপান্তরের মন্তরে
চারের চিহ্ন বদলে গেল
‘চতুর্ভুজের
স্বাক্ষর’-এ ।
পরের বছর দ্বিতীয় রাউন্ড
হেমেন্দ্র-লক্ষ্য এবার হাউন্ড ।
জলা জুড়ে কাঁদে শঙ্খের নাদে
ফেললেন ফাঁদে ভারতভূষণ
হাউন্ড নয় তো, ভালুক ভীষণ !
হেমেন্দ্রকুমার রায়-কৃত 'দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস'-এর রূপান্তর ‘নিশাচরী বিভীষিকা’ । |
ভারত-কপালে জয়টীকা
‘বিচিত্রা’ সিরিজ করল রিলিজ
সেই ‘নিশাচরী বিভীষিকা’ ।
_________________________________________________________
কালে কালে জমা কত তর্জমা –
অদ্রীশ ১০, মানবেন্দ্র ১১ ...
কিশোর, বালক পড়ে শার্লক
সংকলক প্রেমেন্দ্র ১২ ।
_________________________________________________________
কালে কালে জমা কত তর্জমা –
অদ্রীশ ১০, মানবেন্দ্র ১১ ...
কিশোর, বালক পড়ে শার্লক
সংকলক প্রেমেন্দ্র ১২ ।
_________________________________________________________
টুপি-পাইপ সহ বাঙালি ‘হোমস’ স্মরজিৎ । |
পরিচালক অজয় কর । |
‘জিঘাংসা’ ছায়াছবির প্রচার-পুস্তিকা ।
|
’৫১ সালে, এক
অন্য হালে, আসা বাস্কারভিল-এর
বড়পর্দায় চিত্রভাষায় অনূদিত এই থ্রিলার ।
তদন্তে এলেন স্মরজিৎ সেন, গোয়েন্দা ধীর স্থির
কাকে দেখা যায় এই ভূমিকায় ? বটব্যাল শিশির ১৩ ।
ফেরে জলার পেত্নী ১৪ মূর্তি মোহিনী, ভূত তাঁর সহচর
কত প্রশংসা পেল ‘জিঘাংসা’, স্রষ্টা অজয় কর
। বড়পর্দায় চিত্রভাষায় অনূদিত এই থ্রিলার ।
তদন্তে এলেন স্মরজিৎ সেন, গোয়েন্দা ধীর স্থির
কাকে দেখা যায় এই ভূমিকায় ? বটব্যাল শিশির ১৩ ।
ফেরে জলার পেত্নী ১৪ মূর্তি মোহিনী, ভূত তাঁর সহচর
_________________________________________________________
এখনও সমানে
চলেছে এখানে ট্রান্সলেশন-মিছিল ১৫
বঙ্গানুবাদে করে চলে থ্রিল আজও বাস্কারভিল ।
____________________________________________________________________________________________________
'দ্য স্ট্র্যান্ড'-এর পাতায় 'দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস' । |
১ স্যর আর্থার কন্যান ডয়েল (১৮৫৯ – ১৯৩০) ।
২ তৃতীয় শার্লক হোমস উপন্যাস ‘দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস’-এর ধারাবাহিক প্রকাশ,
‘দ্য স্ট্র্যান্ড’ পত্রিকায়, আগস্ট ১৯০১ – এপ্রিল ১৯০২ ।
অলংকরণ শিল্পী ছিলেন সিডনি প্যাজেট (১৮৬০ – ১৯০৮) ।
১৯০২ সালে গ্রন্থবদ্ধ ।
অলংকরণ শিল্পী ছিলেন সিডনি প্যাজেট (১৮৬০ – ১৯০৮) ।
১৯০২ সালে গ্রন্থবদ্ধ ।
৩ ‘ক্রাইম কাহিনীর কালক্রান্তি’ গ্রন্থে সুকুমার সেন এবং তদনুসারে
‘হরতনের নওলা’ গ্রন্থের বিজ্ঞাপন । |
‘বিদেশি গোয়েন্দা গল্প আর বাংলায় তার প্রভাব’ রচনায় প্রসাদরঞ্জন রায়
(‘বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্য সংখ্যা’, ‘কোরক সাহিত্য পত্রিকা’, প্রাক্ শারদ ১৪২০)
প্রমুখ ‘হরতনের নওলা’ উপন্যাসকে শার্লক হোমস-এর প্রথম বঙ্গানুবাদ বলেছেন ।
প্রকৃতপক্ষে শরচ্চন্দ্র সরকার ‘সংকলিত’, পাঁচকড়ি দে ‘সংশোধিত’
‘হরতনের নওলা’ (প্রথম প্রকাশ : ১৮৯৬ ?),
‘দ্য সাইন অফ দ্য ফোর’ (১৮৯০) বা অন্য কোন হোমস-আখ্যান অবলম্বনে নয় ।
সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র কাহিনি ।
শ্রদ্ধেয় সুকুমার সেন লেখেন,
পাঁচকড়ি বাবু ডয়েল-এর রচনার কিছু মালমসলা নিলেও
“... শার্লক হোমসকে ছোঁন নি ।”
(‘ব্যোমকেশ-উপন্যাস’, ‘শরদিন্দু অমনিবাস’, প্রথম খণ্ডের ভূমিকা)
কিন্তু পাঁচকড়ি দে-র খান তিনেক কাহিনি সরাসরি শার্লক-অনুসারী । দ্র : পাদটীকা ৫ ।
“... শার্লক হোমসকে ছোঁন নি ।”
(‘ব্যোমকেশ-উপন্যাস’, ‘শরদিন্দু অমনিবাস’, প্রথম খণ্ডের ভূমিকা)
কিন্তু পাঁচকড়ি দে-র খান তিনেক কাহিনি সরাসরি শার্লক-অনুসারী । দ্র : পাদটীকা ৫ ।
৪ পাঁচকড়ি দে (১৮৭৩ – ১৯৪৫) ।
৫ গোবিন্দরাম আদিত্য এবং ডঃ বসু যথাক্রমে শার্লক হোমস ও ডঃ ওয়াটসন-এর আদলে সৃষ্ট ।
এঁদের ঘিরে পাঁচকড়ি দে-র অন্তত তিনটি আখ্যান ডয়েল-এর ছায়ায় :
‘গোবিন্দরাম’ (১৯০৫) = ‘আ স্টাডি ইন স্কারলেট’ (১৮৮৭) ও ‘দ্য সাইন অফ দ্য ফোর’ (১৮৯০),
হোমস-এর এই প্রথম দুখানি উপন্যাসের একত্র রূপান্তর ।
‘মৃত্যু-বিভীষিকা’ (?) = ‘দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস’ (১৯০২) অবলম্বনে ।
‘কৃপণের মন্ত্র’ (?) = ছোটগল্প ‘দি অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য মাসগ্রেভ রিচুয়াল’ (১৮৯৩)-এর ছায়ায় ।
এছাড়াও দুটি গ্রন্থে গোবিন্দরাম উপস্থিত : ‘প্রতিজ্ঞা-পালন’ (১৯১৪) ও ‘সতী সীমন্তিনী’ ।
তবে দে মহাশয়ের ‘বাঙ্গালীর বীরত্ব’ বইয়ের দেওয়ান গোবিন্দরাম এক স্বতন্ত্র চরিত্র ।
৬ প্রেমাঙ্কুর আতর্থী (১৮৯০ – ১৯৬৪)-র ‘জলার পেত্নী’ ধারাবাহিকভাবে বেরয়
ছোটদের ‘মৌচাক’ পত্রিকায়, বৈশাখ ১১৩৪ – অগ্রহায়ণ
১৩৩৪, মোট সাতটি কিস্তিতে ।
হাউন্ডের পরিবর্তে এতে এক অগ্নিময় ষাঁড় ও কাপড়ের পেত্নী-র মাধ্যমে এলাকায় ত্রাস সঞ্চার করা হত ।
হাউন্ডের পরিবর্তে এতে এক অগ্নিময় ষাঁড় ও কাপড়ের পেত্নী-র মাধ্যমে এলাকায় ত্রাস সঞ্চার করা হত ।
কুলদারঞ্জন
রায়
অনূদিত ‘শার্লক হোমসের বিচিত্র কীর্ত্তি-কথা’ । |
স্বয়ং লেডি কন্যান ডয়েল-এর অনুমতি নিয়ে
‘শার্লক হোমসের বিচিত্র কীর্ত্তি-কথা’ [য] (১৯৩৬ ?) নামক অনুবাদ রচনা করেন ।
কিন্তু ওঁর করা ‘দ্য কেস-বুক অফ শার্লক হোমস’-এর তর্জমা সম্ভবত অদ্যাবধি অপ্রকাশিত ।
[তথ্যসূত্র : ‘বাংলায় সরলাক্ষ হোম’, অশোক দাস (‘দেশ’, ২৮-০৩-১৯৮৭),
এম. সি. সরকার প্রকাশিত ‘স্মরণিকা’ ।]
৮ হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৮৮৮ – ১৯৬৩) ।
এম. সি. সরকার প্রকাশিত ‘স্মরণিকা’ ।]
৮ হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৮৮৮ – ১৯৬৩) ।
‘চতুর্ভুজের স্বাক্ষর’ এবং ‘নিশাচরী বিভীষিকা’ বাদ দিলে,
তাঁর জয়ন্ত-মানিক সিরিজের ‘নেতাজির ছয় মূর্তি’ ও ‘ফিরোজা-মুকুট রহস্য’
যথাক্রমে ‘দি অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য সিক্স নেপোলিয়নস’ আর ‘দি অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য বেরিল করোনেট’ গল্পদুটির ছায়ায় ।
তাঁর জয়ন্ত-মানিক সিরিজের ‘নেতাজির ছয় মূর্তি’ ও ‘ফিরোজা-মুকুট রহস্য’
যথাক্রমে ‘দি অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য সিক্স নেপোলিয়নস’ আর ‘দি অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য বেরিল করোনেট’ গল্পদুটির ছায়ায় ।
এছাড়া ‘ব্রহ্মরাজের পদ্মরাগ’-এ ‘আ স্ক্যান্ডাল ইন বোহেমিয়া’
কাহিনির একটি কৌশল ব্যবহার করা হয় ।
উইকিপিডিয়া অনুসারে ‘নিশাচরী বিভীষিকা’ অনুসরণে নির্মিত হয় বীরেন নাগ পরিচালিত হিন্দি ছবি ‘বিশ সাল বাদ’ ।
উভয়ের মূল উৎস ‘দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস’
বলে এমন মনে হতে পারে ।
তবে ‘নিশাচরী
বিভীষিকা’ ছিল এক অতিকায় ভালুক ।
‘বিশ সাল বাদ’ (১৯৬২)-এ এসেছে এক প্রেতিনীমূর্তি ।
‘বিশ সাল বাদ’ (১৯৬২)-এ এসেছে এক প্রেতিনীমূর্তি ।
৯ ‘দ্য সাইন অফ দ্য ফোর’ (১৮৯০) অনুপ্রাণিত ‘চতুর্ভুজের স্বাক্ষর’ (১৯৫৬ ?) উপন্যাসে গোয়েন্দার নাম ছিল ভারতকুমার চৌধুরী ।
‘দ্য হাউন্ড অফ
দ্য বাস্কারভিলস’ (১৯০২)-এর রূপান্তর ‘নিশাচরী বিভীষিকা’ (১৯৫৭ ?) গ্রন্থে তা হয়ে যায় ভারতভূষণ ।
এটি দেব সাহিত্য কুটীর প্রকাশিত ‘বিচিত্রা সিরিজ’-এর তৃতীয় বই ।
এটি দেব সাহিত্য কুটীর প্রকাশিত ‘বিচিত্রা সিরিজ’-এর তৃতীয় বই ।
গ্রন্থদ্বয়ে বাঙালি ডঃ ওয়াটসন হলেন ভাস্কর ।
‘চতুর্ভুজের স্বাক্ষর’-এ গোবিন্দরাম (গাঙ্গুলি) নামে এক ইন্সপেক্টর আছেন ।
এ কি পাঁচকড়ি দে-র প্রতি ট্রিবিউট ? [দ্র : পাদটীকা ৫ ।]
‘চতুর্ভুজের স্বাক্ষর’-এ গোবিন্দরাম (গাঙ্গুলি) নামে এক ইন্সপেক্টর আছেন ।
এ কি পাঁচকড়ি দে-র প্রতি ট্রিবিউট ? [দ্র : পাদটীকা ৫ ।]
১০ অদ্রীশ বর্ধন অনূদিত ‘শার্লক হোমস অমনিবাস’ ও পরে ‘শার্লক হোমস সমগ্র’ গ্রন্থে
সংকলিত হয়েছে ‘দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস’-এর তর্জমা ।
১১ ‘বাস্কারভিলদের হাউন্ড’(২০০২), মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ।
১২ প্রেমেন্দ্র মিত্র সম্পাদিত ‘শার্লক হোমসের কিশোর রচনা সমগ্র’ (১৯৮৮ ?) ।
এতে ‘বাস্কারভিল রহস্য’ নামে এক সংক্ষিপ্ত অনুবাদ রয়েছে ।
১৩ প্রদীপকুমার-এর অগ্রজ, অভিনেতা শিশির বটব্যাল (জন্ম : ১৯১০) ।
‘জিঘাংসা’ ছবির ‘জলার পেত্নী’ ।
|
তবে তিনি প্রেমাঙ্কুর আতর্থী সৃষ্ট নকল প্রেতিনীর মত
ভীতিপ্রদ নন । [দ্র
: পাদটীকা ৬ ।]
এছাড়া উভয়ের উৎস ‘দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস’ হলেও,
কাহিনিবিন্যাসে বিশেষ মিল নেই ।
১৫ বাংলায় শার্লক হোমস ‘অমনিবাস’ বা ‘সমগ্র’ জাতীয় সংকলন বাদ দিলেও আলাদাভাবে ‘দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস’ অনুবাদ করেছেন অমলেন্দু সেন (১৯৬৩), সুবোধ চক্রবর্তী, ঋষি দাস (১৯৮৩), শুভদেব চক্রবর্তী (১৯৮৩), শ্রীতম অধিরাজ (২০০৩) প্রমুখ লেখক ।
____________________________________________________________________________________________________
23 comments:
অসাধারণ নিবন্ধ। কিন্তু নীহাররঞ্জন-এর লেখা "বউরানির বিল" আর "পদ্মদহের পিশাচ" বাদ পড়ে গেল যে। তাছাড়া, প্রেমেন্দ্র মিত্রের "হানাবাড়ি"-তেও কি কোনান ডয়েল-এর এই উপন্যাসটির ছায়াপাত ঘটেনি?
Ek awsadharan r asambhab kaaj kore cholchis.. Darun laaglo.
অশেষ ধন্যবাদ রজত ।
খুব ভাল লাগল ।
দারুণ !!!
অশেষ ধন্যবাদ ঋজু বাবু, ফাঁকগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ।
আসলে 'বউরানির বিল' আর 'পদ্মদহের পিশাচ' আমার পড়া হলেও তেমন ভাবে মনে নেই ।
অবশ্যই আবার পড়ে দেখব । মনে হচ্ছে সত্যিই এতে 'হাউন্ড'-এর সচেতন প্রভাব ছিল ।
তবে 'হানা বাড়ি'-র ক্ষেত্রে আমি বোধহয় আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত হতে পারলাম না ।
'হাউন্ড' এমনই একটা সাঙ্ঘাতিক মাপের লেখা যে তার প্রত্যক্ষ / পরোক্ষ প্রভাব অজস্র বাংলা কাহিনিতে পড়েছে ।
যেমন প্রসাদ উপাধ্যায় ছদ্মনামে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় রচিত 'প্রেতের আহ্বান' ।
কিন্তু মূল থিমের অস্পষ্ট ছাপের বেশি কিছু সে-সব ক্ষেত্রে হয়ত খুঁজতে যাওয়া বৃথা ।
'বঙ্গে বাস্কারভিল'-এ চেষ্টা করেছিলাম সেই সব গুরুত্বপূর্ণ লেখার কয়েকটির উল্লেখ করা, যেগুলিকে নির্দ্বিধায় ডয়েল-কাহিনির সচেতন অনুবাদ বা রূপান্তর বলা চলে ।
'হানা বাড়ি' কিম্বা 'প্রেতের আহ্বান'-কে সেই গোত্রে ফেলতে একটু দ্বিধা বোধ করছি ।
জানি না আপনি একমত হবেন কিনা ।
আবারও ধন্যবাদ জানাই আমাদের এই অকিঞ্চিৎকর প্রয়াসকে এতখানি গুরুত্ব দিয়ে পড়ার জন্য ।
ভাল থাকবেন । সঙ্গে থাকবেন ।
porey khub i anondo pelum.opurbo lekha prochur porishrom er fosol. aajonmo probasi bangali hishebey eķtu nijer pith o chaprey dilum ei bhebey jey beshir bhag lekha i amar pora. dhonyobaad apnakey onek smriti jagorito korey dilen.Sorolakhyo home key bhulei gyachhilum ekta reference ey naam dekhlum ar nijer ojantei ekta bhalo laga feeling choley elo
Bis Sal Baad elo jokhon Kuheli o aste parto! khub sundor sinkolon jodio!
বড়ো ভালো লিখছেন। ওয়েল-রিসার্চড। স্বাদু গদ্য। সঠিকতার দাবি সমেত সটীক।
Darun lekha Saurabh Da.
Chaliye jan.
অশেষ ধন্যবাদ সোমেশ্বর বাবু ।
আপনার স্মৃতি উসকে দিতে পেরেছি - আমাদের শ্রম সার্থক ।
Blogus-এ আপনাকে স্বাগত জানাই ।
অশেষ ধন্যবাদ অর্ণব !
তোমার মতামত পেয়ে খুব ভাল লাগল ।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
Blogus-এ স্বাগত জানাই ।
ভাল থাকবেন ।
অশেষ ধন্যবাদ !
খুব ভাল লাগল ।
সবার মতামত পেলে তবেই এগিয়ে চলার উৎসাহ পাই । :)
Asombhob ke sombhob korar sundar ekti prayas.
অশেষ ধন্যবাদ শুভজিৎ বাবু ।
Blogus-এ আপনাকে স্বাগত জানাই ।
পড়লাম। এক কথায় দারুণ কাজ! তারিফ করতেই হবে।
অশেষ ধন্যবাদ শিশির বাবু ।
আপনার মত শ্রদ্ধেয় মানুষের ভাল লাগার কথা জানলে আমরা খুবই উৎসাহিত বোধ করি ।
Khub bhalo ebong tothyosomridhyo lekha. Bortomane Shuktara Potrikai ei uponyastir bonganubad dharabahikbhabe prokashito hochchhe.
'শুকতারা'-র নতুন ধারাবাহিকের কথা জানা ছিল না ।
অশেষ ধন্যবাদ সঞ্জয় বাবু !
Blogus ব্লগে আপনাকে স্বাগত জানাই ।
samprati prokasjhito kaushik majumderer holmesnama porlam. sekhaneo hartaner naolake panchkari de likhito o baskerville kahini abalambane likhito bola hoeche. asole ja sampurna swatanta kahini o sharachhandra sarkar rachito
ekta reasrcher kaj korchi. apnar kache mrityu bibhishikati ki ache sauravbabu? thakle prtham kayekti pata (title soho) ektu deoa jbe? ekti upanyaser jonno 400 taka die panchkori de tritiyo khandati kena jachhe na.
দুঃখিত প্রিতম বাবু ।
'মৃত্যু বিভীষিকা' উপন্যাসটি এই মুহূর্তে আমার সংগ্রহে নেই ।
কিছু মনে করবেন না ।
na na.mone korar kichui nei. sangrahe na thaka to karur hate nei
খুব ছোটবেলায় চিলড্রেন্স ডিটেকটিভ শারদীয়াতে এর একটি সম্পূর্ণ অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সেটাই আমার পড়া প্রথম হোমস কাহিনী। এর পরে বইমেলায় বাবা-মা কিনে দিয়েছিল অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির প্রকাশিত শার্লক হোমস সমগ্রের প্রথ খণ্ডটি। এর অন্য খণ্ডে এই গল্পটি আছে। বাংলায় প্রকাশিত সম্পূর্ণ হোমস সমগ্র হিসেবে আমার মতে অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির এর সমগ্রই সেরা।
Post a Comment