কংমিকস
== এই ব্লগে প্রদর্শিত অপরের রচনাংশ, স্থিরচিত্র বা অলংকরণের কপিরাইট আমাদের নয় । ==
পোস্টের
বক্তব্য স্পষ্টতর করতে এগুলি সাজানো হচ্ছে । কোনও ব্যবসায়িক স্বার্থে নয় ।
BlOGUS ব্লগে ‘কংমিকস’ । |
ছবির নাম ‘কিং কং’ (১৯৩৩) । |
চিত্রে
কাহিনি নয় ।
কাহিনিচিত্র নির্মাণের সচিত্র নেপথ্য কাহিনি ।
কমিকস ? বিন্যাস তো তেমনটাই ।
কাহিনিচিত্র নির্মাণের সচিত্র নেপথ্য কাহিনি ।
কমিকস ? বিন্যাস তো তেমনটাই ।
‘কিং কং কোথা হইতে আসিল ?’, ননীগোপাল চক্রবর্তী, ১৯৪০ । |
‘কিং কং কোথা হইতে আসিল ?’ নিবন্ধের যেন সবকিছুই অভিনব ।
ধরুন বিষয় ।
ছবির নাম ‘কিং কং’ (১৯৩৩) ।
হেমেন্দ্র কুমার রায় রচিত ‘কিং কঙ’ । |
ইতিপূর্বে
প্রকাশিত হয়ে গেছে এর গল্পাংশের ঝকঝকে বাংলা রূপান্তর (১৯৩৭ ?) ।
হেমেন্দ্র কুমার রায়-এর স্বাধীন কলমে ।
কং রাজার খুদে চক্ষু দিয়ে নিউ ইয়র্ক নয়, খোদ কলকাতা শহরকেই দেখেছেন পাঠক ।
হেমেন্দ্র কুমার রায়-এর স্বাধীন কলমে ।
কং রাজার খুদে চক্ষু দিয়ে নিউ ইয়র্ক নয়, খোদ কলকাতা শহরকেই দেখেছেন পাঠক ।
ক্লাসিক
ছায়াচিত্রের এমন কিশোরপাঠ্য উপন্যাসরূপ দেওয়ার প্রয়াস অবশ্যই ছিল অভিনব ।
কিন্তু বায়স্কোপের স্পেশাল এফেক্টস ?
তা নিয়েও যে স্কুল পড়ুয়াদের নিঃসীম কৌতূহল থাকতে পারে, তিন বা চার-এর দশকে এমন ভাবনা বুঝি অভিনবতর ।
কিন্তু বায়স্কোপের স্পেশাল এফেক্টস ?
তা নিয়েও যে স্কুল পড়ুয়াদের নিঃসীম কৌতূহল থাকতে পারে, তিন বা চার-এর দশকে এমন ভাবনা বুঝি অভিনবতর ।
পথ দেখালেন সুকুমার রায়-এর মেজো
ভাই সুবিনয় রায় (চৌধুরী) ।
বছরখানেক আগে মুক্তি পেয়েছে ‘কিং কং’ ।
পৃথিবীর সেই ‘অষ্টম আশ্চর্য’ কীভাবে অমন গর্জন করল ? থপ থপ পায়ে হেঁটে-চলে বেড়ালো ?
সহজ ভাষায় তারই ব্যাখ্যা দিলেন সুবিনয় ।
‘রামধনু’-র পাতায় তাঁর ‘অতিকায়ের কাণ্ড’ (শ্রাবণ ১৩৪১) ভোলবার নয় ।
বছরখানেক আগে মুক্তি পেয়েছে ‘কিং কং’ ।
পৃথিবীর সেই ‘অষ্টম আশ্চর্য’ কীভাবে অমন গর্জন করল ? থপ থপ পায়ে হেঁটে-চলে বেড়ালো ?
সহজ ভাষায় তারই ব্যাখ্যা দিলেন সুবিনয় ।
‘রামধনু’-র পাতায় তাঁর ‘অতিকায়ের কাণ্ড’ (শ্রাবণ ১৩৪১) ভোলবার নয় ।
সুবিনয় রায় রচিত ‘অতিকায়ের কাণ্ড’,
‘রামধনু’, শ্রাবণ ১৩৪১ । |
সন্দীপ রায়-এর ‘কং’, ‘সন্দেশ’, ভাদ্র – আশ্বিন ১৩৮৪ । |
‘সন্দেশ’ পত্রিকায় সন্দীপ রায় ।
তবে সে তো ১৯৭৭ ।
ততদিনে ‘কিং কং’ ছবির পয়লা রিমেক তৈরি হয়ে গেছে ।
সাধারণভাবে চলচ্চিত্র তৈরির নানা রহস্যই জেনে গেছেন দর্শক । ছোটরাও ।
‘ছায়াছবির ভয়ঙ্কর’,
ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ
ভট্টাচার্য (১৯৫২) । |
দেব সাহিত্য কুটীর প্রকাশিত ‘পরশমণি’ বার্ষিকীতে ‘ছায়াছবির ভয়ঙ্কর’ (১৯৫২) ।
লেখক ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য ।
‘কিং কং’ ছিল তার একটা বড় অংশ জুড়ে ।
এসব তো অনেক পরের ঘটনা ।
কিন্তু ১৯৪০-এ ?
ফিল্ম নির্মাণের খুঁটিনাটি সম্পর্কে গালগল্পহীন সিরিয়াস আলোচনা তখনও সাধারণ বড়দের পত্রিকাতেই বিরল ।
কাজেই সুবিনয় রায়-এর ঐ চমৎকার লেখাটি বাদ দিলে, এ-বিষয়ে কিশোর-উপযোগী রচনাও প্রায় নেই ।
এই সময় ‘বার্ষিক শিশু-সাথী’-তে সাহিত্যিক ননীগোপাল চক্রবর্তী লিখলেন ‘কিং কং কোথা হইতে আসিল ?’
১৩৪৭ সনের সেই নিবন্ধ বিশেষত উপস্থাপনা -র অভিনবত্বে আলাদা হয়ে গেল ।
‘কং’-কেন্দ্রিক পূর্বের ও পরের যাবতীয় লেখার থেকে ।
‘কিং কং’ প্রকৃতপক্ষে জাম্বুবান-এর জীবনী । ছবির ভাষা সংস্কৃত ।
শিরোনামে অনুস্বর-আধিক্য ও পোস্টারে নায়কের প্রতিকৃতি দেখে এমনটাই অনুমান করেছিলেন হর্ষবর্ধন ।
(‘কলকাতার হালচাল’, দ্বিতীয় ধাক্কা, শিবরাম চক্রবর্তী, ‘রামধনু’, মাঘ ১৩৪১)
এতটা না হলেও হল-ফেরত কোনো কোনো বঙ্গজ অনুমান করেছিলেন, কং ‘সত্যিই একটা শিম্পাঞ্জি’ ।
অথবা ‘হাতে আঁকা ছবি’ ।
শুধু কথার মাধ্যমে এহেন দর্শকদের সিনেমা তথা ক্যামেরার জটিল যান্ত্রিক কৃতকৌশল বোঝান যেত ?
উপরন্তু পাঠক এক্ষেত্রে ফিল্ম-অনভিজ্ঞ কচিকাঁচারা ।
উপস্থাপনা হতে হবে সরল । কিন্তু চিত্তাকর্ষক ।
কিন্তু ১৯৪০-এ ?
ফিল্ম নির্মাণের খুঁটিনাটি সম্পর্কে গালগল্পহীন সিরিয়াস আলোচনা তখনও সাধারণ বড়দের পত্রিকাতেই বিরল ।
কাজেই সুবিনয় রায়-এর ঐ চমৎকার লেখাটি বাদ দিলে, এ-বিষয়ে কিশোর-উপযোগী রচনাও প্রায় নেই ।
এই সময় ‘বার্ষিক শিশু-সাথী’-তে সাহিত্যিক ননীগোপাল চক্রবর্তী লিখলেন ‘কিং কং কোথা হইতে আসিল ?’
১৩৪৭ সনের সেই নিবন্ধ বিশেষত উপস্থাপনা -র অভিনবত্বে আলাদা হয়ে গেল ।
‘কং’-কেন্দ্রিক পূর্বের ও পরের যাবতীয় লেখার থেকে ।
‘কিং কং’ প্রকৃতপক্ষে জাম্বুবান-এর জীবনী । ছবির ভাষা সংস্কৃত ।
শিরোনামে অনুস্বর-আধিক্য ও পোস্টারে নায়কের প্রতিকৃতি দেখে এমনটাই অনুমান করেছিলেন হর্ষবর্ধন ।
(‘কলকাতার হালচাল’, দ্বিতীয় ধাক্কা, শিবরাম চক্রবর্তী, ‘রামধনু’, মাঘ ১৩৪১)
এতটা না হলেও হল-ফেরত কোনো কোনো বঙ্গজ অনুমান করেছিলেন, কং ‘সত্যিই একটা শিম্পাঞ্জি’ ।
অথবা ‘হাতে আঁকা ছবি’ ।
শুধু কথার মাধ্যমে এহেন দর্শকদের সিনেমা তথা ক্যামেরার জটিল যান্ত্রিক কৃতকৌশল বোঝান যেত ?
উপরন্তু পাঠক এক্ষেত্রে ফিল্ম-অনভিজ্ঞ কচিকাঁচারা ।
উপস্থাপনা হতে হবে সরল । কিন্তু চিত্তাকর্ষক ।
রচনায় শব্দ থাক । থাকবেই ।
সঙ্গে কিছু ছবি ।
কিন্তু কী ছবি ? স্রেফ প্রাসঙ্গিক কটা ফিল্ম স্টিল ?
নিবন্ধকার ননীগোপাল চক্রবর্তী বেছে নেন এক অনন্য পদ্ধতি ।
কমিকস-এর ভাষা ।
যা উঁচা-নীচা ছোট-বড় সমান বোঝে ।
বাক্সে বাক্সে সাজানো হল যন্ত্র-জাদুর রহস্য ফাঁস-করা ইলাস্ট্রেশন ।
সঙ্গে ক্যাপশন ।
ফল ? দেখে নিন ।
‘ব্যাক-প্রজেকশন’ বা ‘স্টপ মোশন’ প্রয়োগকৌশল কেমন অবলীলায় বোঝানো গেছে ।
টেকনিকাল শব্দের গজাল ছাড়াই ।
ননীগোপাল স্বয়ং জানিয়েছেন,
“ছবিখানি বাহির হইবার পরেই আমেরিকার ‘Modern Mechanix and Inventions’ নামক পত্রিকায় ঐ ছবিখানি তোলার সমস্ত গোপন রহস্য প্রকাশিত হয় ।”
ঠিক । সেই লেখার নাম ‘Latest Wonder Movie is Technical Marvel’ (এপ্রিল ১৯৩৩) ।
তার উপস্থাপনাতেও আছে অনুরূপ সচিত্র কায়দা ।
“ছবিখানি বাহির হইবার পরেই আমেরিকার ‘Modern Mechanix and Inventions’ নামক পত্রিকায় ঐ ছবিখানি তোলার সমস্ত গোপন রহস্য প্রকাশিত হয় ।”
ঠিক । সেই লেখার নাম ‘Latest Wonder Movie is Technical Marvel’ (এপ্রিল ১৯৩৩) ।
তার উপস্থাপনাতেও আছে অনুরূপ সচিত্র কায়দা ।
‘Modern Mechanix and Inventions’, April 1933. |
‘Latest Wonder Movie is Technical Marvel’, ‘Modern Mechanix and Inventions’, April 1933. |
কিন্তু ‘কিং কং কোথা হইতে আসিল ?’-তে সেটির বিন্যাস একেবারেই অনুসৃত হয়নি ।
সেখানে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একসেট অলংকরণ । সাজানোর স্বকীয় স্টাইল ।
‘বার্ষিক শিশু-সাথী’ ১৩৪৭ থেকে পুনরাবিষ্কৃত সম্পূর্ণ সচিত্র লেখাটাই ধরা রইল BlOGUS-এর বন্ধুদের জন্য ।