টেনিদা ও চিত্রিত ‘চার মূর্ত্তি’
== এই ব্লগে প্রদর্শিত অপরের রচনাংশ, স্থিরচিত্র বা
অলংকরণের কপিরাইট আমাদের নয় । ==
পোস্টের
বক্তব্য স্পষ্টতর করতে এগুলি সাজানো হচ্ছে । কোনও ব্যবসায়িক স্বার্থে নয় ।
‘চার মূর্ত্তি’-র চার মূর্তি । |
********************************************************************************
সুদুর্লভ বই / পত্রিকার অলংকরণ এবং সেই সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করে দিয়ে নিঃস্বার্থে সাহায্য
করেছেন
শ্রী দেবাশিস গুপ্ত,
শ্রী অশোক কুমার রায়, শ্রী সর্বজিৎ
মিত্র, শ্রী সমুদ্র বসু,
শ্রী অর্ণব দাস, শ্রী রুস্তম মুখোপাধ্যায়, শ্রী সুগত রায়, শ্রী সোমনাথ দাশগুপ্ত ।
এঁরা সকলেই ব্যস্ত মানুষ ।
তবু যে এই অকিঞ্চিৎকর প্রয়াসের জন্য সময় ও শ্রম ব্যয় করতে কুণ্ঠিত হননি, তার মূলে এঁদের সংরক্ষণ-সদিচ্ছা এবং টেনিদা-প্রীতি ।
BlOGUS সবিশেষ কৃতজ্ঞ ।
********************************************************************************
এঁরা সকলেই ব্যস্ত মানুষ ।
তবু যে এই অকিঞ্চিৎকর প্রয়াসের জন্য সময় ও শ্রম ব্যয় করতে কুণ্ঠিত হননি, তার মূলে এঁদের সংরক্ষণ-সদিচ্ছা এবং টেনিদা-প্রীতি ।
BlOGUS সবিশেষ কৃতজ্ঞ ।
********************************************************************************
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় [১৯১৭ / ১৯১৮ – ১৯৭০] । |
ভজহরি । কমলেশ । কুশল । স্বর্ণেন্দু ।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় সৃষ্ট
মার্কামারা চার মূর্তি ।
ইতিপূর্বে
এঁরা একত্রে মঞ্চ মাতিয়েছেন ১ । ফুটবল
২ – ক্রিকেট ৩ পিটিয়েছেন । বনভোজনেও বেরিয়েছেন
৪ ।
কিন্তু পয়লা ভ্রমণ ঐ ‘চার মূর্ত্তি’ উপন্যাসেই । রাঁচির কাছাকাছি ঝন্টিপাহাড়-যাত্রা ।
কিন্তু পয়লা ভ্রমণ ঐ ‘চার মূর্ত্তি’ উপন্যাসেই । রাঁচির কাছাকাছি ঝন্টিপাহাড়-যাত্রা ।
মূর্তিচতুষ্টয়কে প্রথম একসঙ্গে পাওয়া গেল কোন কাহিনিতে ?
মনে
রাখতে হবে, টেনিদা-র ৩৩ টি ছোটগল্পের ১৫ টিতেই গরহাজির ক্যাবলা আর হাবুল
৫ ।
‘খট্টাঙ্গ
ও পলান্ন’ এবং ‘মৎস্য-পুরাণ’ পেরিয়ে ৬ , এই সিরিজে
দুজনের প্রথম আবির্ভাব বোধহয় ‘দধীচি, পোকা ও বিশ্বকর্মা’-তে ।
চাটুজ্জেদের
রোয়াক এই গল্পে একবার উঁকি দিয়েছে মাত্র ।
পরে,
চার মূর্তির এই স্থায়ী আড্ডাস্থলে শোনা গেল টেনিদা-কথিত পয়লা কিসসা : ‘ক্যামোফ্লেজ’ ।
সভাপতি-র
স্বীকৃতিও তিনি পেলেন এই প্রথম ৭ ।
অতঃপর
‘ভজহরি ফিলম কর্পোরেশন’ (১৩৫৫) ।
ফের
প্যালা এবং টেনিদা ।
তা
সত্ত্বেও ক্যাবলা-হাবুল কেন অনুপস্থিত, তার কৈফিয়ত দেওয়া হয়েছে ।
অর্থাৎ
চারজনেই ততদিনে একটি টিম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ।
লিডার-এর
ভাল নাম এই গল্পে জানা গেলেও, প্যালা কিন্তু তখনও কমলেশ ব্যানার্জি নন । প্যালারাম বন্দ্যোপাধ্যায় ।
১৩৫৭
সনে ‘পরের উপকার করিও না’ ।
হাবুল সেন এতদিন বাক্যালাপ করছিলেন সাদা বাংলায় ৮ ।
হাবুল সেন এতদিন বাক্যালাপ করছিলেন সাদা বাংলায় ৮ ।
এই
গল্প থেকে তাঁর মুখে বসল ঢাকাই ভাষা ।
‘টেনিদা
সমগ্র’ ৯-তে সংকলিত এই গল্পে একটি পঙক্তি আছে :
“আমি, ক্যাবলা আর হাবুল সেন – ‘চার মূর্তি’র তিন মূর্তি – চাঁদা করে তিন
টাকা জমা দিয়ে টেনিদাকে খালাস করে আনলাম ।”
মনে
হতে পারে, এটিই বুঝি ‘চার মূর্তি’ শব্দযুগলের প্রথম প্রয়োগ ।
প্রকৃতপক্ষে,
‘বার্ষিক শিশুসাথী’ (১৩৫৭)-তে ‘পরের উপকার করিও না’-র আদিরূপে রয়েছে :
“আমি, ক্যাবলা আর হাবুল সেন – ‘সপ্তকাণ্ডের’ তিন মূর্তি – চাঁদা করে তিন
টাকা জমা দিয়ে টেনিদাকে খালাস করে আনলাম ।”
এই
‘সপ্তকাণ্ড’ (১৩৫৫) হল সেই বই, যেখানে টেনিদা সিরিজের প্রথম এক
গণ্ডা গল্প সর্বপ্রথম অন্তর্ভুক্ত হয় ।
অনুমান
করা যায়, ‘টেনিদার গল্প’ (১৩৭৫) প্রভৃতি পুস্তক থেকে ‘পরের উপকার করিও
না’-র ঐ লাইনটির বদল ঘটে ।
মোট
কথা, ‘চার মূর্ত্তি’ উপন্যাসের আগে, ‘চার মূর্তি’ লেবেলখানির কোনো
উল্লেখ মেলেনি ।
ইতিমধ্যে
ফাঁস হয়ে গেছে প্যালারাম আর হাবুল-এর পদবি ।
কিন্তু
‘চার মূর্তির অভিযান’ (ধারাবাহিক : ১৩৬৫ – ১৩৬৭) পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁদের এবং ক্যাবলা-র ভাল নাম জানতে ।
কাজেই ‘চার মূর্ত্তি’ (ধারাবাহিক : ১৩৬২ – ১৩৬৩) -র
পাঠকবৃন্দও কিন্তু এই ত্রয়ীকে স্রেফ ডাক নামেই চিনতেন ।
‘ডি-লা-গ্রান্ডি
মেফিস্টোফিলিস ইয়াক্ ইয়াক্’ স্লোগানটিও তখন অজানা ।
‘ঢাউস’ (১৩৬৪) গল্পে ওটি আবিষ্কৃত ।
এই ‘চার মূর্ত্তি’ উপন্যাসের ক্ষেত্রে অন্তত চার রকমের সচিত্র স্মৃতি সঞ্চিত আছে বঙ্গবাসীর
ব্রেনে ।
BlOGUS ব্লগে
আজ তারই সালংকৃত ফিরিস্তি ।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
প্রথম মূর্তি ।। ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় ‘চার মূর্ত্তি’
‘শিশুসাথী’-তে ধারাবাহিক প্রকাশ ।। বৈশাখ ১৩৬২ – অগ্রহায়ণ ১৩৬৩ (কার্ত্তিক ১৩৬২, জ্যৈষ্ঠ ১৩৬৩, কার্ত্তিক ১৩৬৩ বাদ) ।
চিত্রশিল্পী ।। নরেন্দ্র
দত্ত ।
টেনিদা । প্যালা । ক্যাবলা । হাবুল ।
ইতিমধ্যে
তাঁদের কীর্তি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে অন্তত এগারোটি ছোটগল্প ১০ ।
সেই
সঙ্গে শুধু ক্যাবলা আর প্যালা-কে নিয়ে টেনিদা-হীন ‘ছাত্র-চরিতামৃত’
(১৩৫৬) ।
‘সপ্তকাণ্ড’
বইটিও বেরিয়ে গেছে ।
‘ছোটদের
একটুখানি খুশি’ করতে ১১ এবার হাজির হাস্য-রহস্যে ঠাসা এক
জবরদস্ত উপন্যাস ।
সপ্তদশ
কিস্তিতে ‘চার মূর্ত্তি’ বিন্যস্ত হল ‘শিশুসাথী’-র পাতায় ।
এই
পত্রিকা ও সংশ্লিষ্ট বার্ষিকীর সঙ্গে ভজহরি মুখুজ্জ্যে-দের সম্পর্ক
বহুদিনের ।
উপন্যাসের
অন্যতম আকর্ষণ এর চরিত্র-গ্যালারি ।
চার মূর্তি তো আছেনই ।
সঙ্গে মেসোমশাই । ঝন্টুরাম ।
সর্বোপরি
তিন-তিনজন দুর্দান্ত দুর্বৃত্ত ।
‘পরের
উপকার করিও না’ গল্পে ছিলেন এক বিরাটকায় সাধু ১২ ।
অ-টেনিদা
কাহিনি ‘সদা হাস্যমুখে থাকিবে’ (১৩৬১)-তে স্বামী ঘুর্ঘুরানন্দ ।
পরের
বছরই, ‘চার মূর্ত্তি’-র রামগড়-গামী রেলে উঠে পড়লেন স্বামী ঘুটঘুটানন্দ ।
তাঁর
দুই সাঙ্ঘাতিক সাগরেদ – গজেশ্বর গাড়ুই, শেঠ ঢুন্ডুরাম ।
উপন্যাসের অলংকরণে এই দুষ্টত্রয়ী বারংবার প্রাধান্য পেয়েছেন ।
ইতিপূর্বে
প্রেমেন্দ্র মিত্র-র ঘনাদা-কে অভিনব মূর্তিতে হাজির করেছিলেন শিল্পী
নরেন্দ্র দত্ত ১৩ ।
‘শিশুসাথী’-তে ‘চার মূর্ত্তি’-র অলংকরণও তাঁর ।
প্রায় ছয় দশক প্রাচীন পত্রিকার সেই প্রথম প্রকাশিত চিত্রগুচ্ছ সাজানো হল BlOGUS ব্লগে ।
প্রায় ছয় দশক প্রাচীন পত্রিকার সেই প্রথম প্রকাশিত চিত্রগুচ্ছ সাজানো হল BlOGUS ব্লগে ।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘চার মূর্ত্তি’
ধারাবাহিকের হেডপীস,
‘শিশুসাথী’,
বৈশাখ ১৩৬২ – অগ্রহায়ণ ১৩৬৩ । শিল্পী ।। নরেন্দ্র
দত্ত । |
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘চার মূর্ত্তি’ ধারাবাহিকের অলংকরণ,
‘শিশুসাথী’, বৈশাখ
১৩৬২ – অগ্রহায়ণ
১৩৬৩ । শিল্পী ।। নরেন্দ্র
দত্ত । |
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
দ্বিতীয় মূর্তি ।। ‘চার মূর্তি’ গ্রন্থ – অভ্যুদয় সংস্করণ
দ্বিতীয় মূর্তি ।। ‘চার মূর্তি’ গ্রন্থ – অভ্যুদয় সংস্করণ
প্রকাশক ।। অভ্যুদয়
প্রকাশ-মন্দির ।
সাল ।। চৈত্র ১৩৬৩ ।
চিত্রশিল্পী ।। শৈল নারায়ণ চক্রবর্তী ।
অগ্রহায়ণ
১৩৬৩ । ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় প্রকাশিত
হল ধারাবাহিকের অন্তিম কিস্তি ।
ঐ
সনের চৈত্র মাসেই গ্রন্থরূপে ‘চার মূর্তি’-র অভ্যুদয় ।
চিত্রমাধ্যমে
যিনি ‘হর্ষবর্ধন, গোবর্ধন ও টেনিদার রূপকার’ ১৪ ।
![]() |
শৈল নারায়ণ চক্রবর্তী (১৯০৯ – ১৯৮৯) । |
প্রচ্ছদ এবং ফ্রন্টিসপীস-এ চিত্রিত চার মূর্তি :
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর ‘চার মূর্তি’ গ্রন্থের
প্রচ্ছদ এবং ফ্রন্টিসপীস,
অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, চৈত্র
১৩৬৩ । শিল্পী ।। শৈল
চক্রবর্তী । |
‘বেয়ারিং
ছাঁট’ (১৩৬৮)-এপ্রথম পাই তাঁর চশমার উল্লেখ ।
পরে
‘টেনিদা আর ইয়েতি’ (১৩৭৫), ‘প্রভাত সঙ্গীত’ (১৩৭৬), ‘চেঙ্গিস আর
হ্যামলিনের বাঁশিওলা’ (১৩৭৭) গল্পেও ।
অর্থাৎ ‘চার মূর্ত্তি’-র অনেক পরে চার-চক্ষু হয়েছিলেন কুশল মিত্র ।
অভ্যুদয় সংস্করণে আছে আরও চারখানি
চিত্র ।
তিনটিতে
তিন ভিলেন । অপরটিতে ঝন্টুরাম ।
ক্লাসিক
কাহিনির চিরন্তন চিত্রায়ন ।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর ‘চার মূর্তি’ গ্রন্থের
অলংকরণ,
অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, চৈত্র
১৩৬৩ । শিল্পী ।। শৈল
চক্রবর্তী । |
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
তৃতীয় মূর্তি ।। ‘চার মূর্তি’ গ্রন্থ – শৈব্যা সংস্করণ
তৃতীয় মূর্তি ।। ‘চার মূর্তি’ গ্রন্থ – শৈব্যা সংস্করণ
প্রকাশক ।। শৈব্যা
পুস্তকালয় ।
সাল ।। “প্রথম হইতে পঞ্চম মুদ্রণ
দ্রুত নিঃশেষের পর নব সজ্জায় প্রকাশিত হোল তৃতীয় সংস্করণ (শৈব্যা) ফেব্রুয়ারী –
১৯৭৬” ১৫ ।
চিত্রশিল্পী ।। শৈল নারায়ণ চক্রবর্তী ।
শৈল চক্রবর্তী-র সম্মুখে এক
চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ ।
একবার
উপন্যাসখানি অলংকৃত করে ফেলার পর, ফের নব সাজে সজ্জিত করতে হবে ‘চার মূর্তি’-র
নয়া সংস্করণকে ।
লক্ষণীয়,
অভ্যুদয়-এর ছবির জন্য নির্বাচিত পরিস্থিতিগুলোই ফিরে এল শৈব্যা-য় ।
অথচ একেবারে আনকোরা শৈলীতে ।
মোট
চারটি অলংকরণ । দুটি দু-পাতা জোড়া ।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর ‘চার মূর্তি’ গ্রন্থের
অলংকরণ,
শৈব্যা পুস্তকালয় । শিল্পী ।। শৈল
চক্রবর্তী । |
আর
প্রচ্ছদ ?
ঘনাদা, ফেলুদা, হর্ষবর্ধন । এঁদের ক্ষেত্রে, চেহারার একটা মোটামুটি
নির্দিষ্ট ভিস্যুয়াল রূপ আঁকা আছে বাঙালি মগজে ।
তেমনি
টেনিদা-র বেলায় ?
আমা-হেন
বহু প্রৌঢ়ের কাছে আদর্শ – শৈব্যা সংস্করণের মলাটের মাঝখানের ঐ মার্কামারা
মূর্তিখানি ।
উনিই
ট্রেডমার্ক টেনি শর্মা । ভেজালহীন
ভজহরি ।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর ‘চার মূর্তি’
গ্রন্থের প্রচ্ছদ,
শৈব্যা পুস্তকালয় । শিল্পী
।। শৈল চক্রবর্তী । |
পরবর্তীকালে শৈব্যা-র ‘চার মূর্তি’ অভ্যন্তরীণ অলংকরণ ছেঁটে ফেলে ।
ব্যবহৃত হয় একটিমাত্র হেডপীস । সম্ভবত শ্রী গৌতম রায় অঙ্কিত ।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর ‘চার মূর্তি’
গ্রন্থ থেকে,
শৈব্যা পুস্তকালয় । শিল্পী
।। গৌতম রায় (?) । |
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
চতুর্থ মূর্তি ।। ‘চার মূর্তি’ : কাহিনিচিত্র এবং চিত্র-কাহিনি
চতুর্থ মূর্তি ।। ‘চার মূর্তি’ : কাহিনিচিত্র এবং চিত্র-কাহিনি
ক) কাহিনিচিত্র ‘চারমূর্তি’ ।
মুক্তি ।।
৫/৫/১৯৭৮,
মিনার-বিজলি-ছবিঘর প্রভৃতি প্রেক্ষাগৃহে ।
চিত্রনাট্য / পরিচালনা ।। উমানাথ
ভট্টাচার্য ।
সঙ্গীত ।। অজয় দাস ।
এবার
চিত্রিত নয় । চিত্রায়িত ‘চারমূর্তি’ ।
সবার
দেখা ছায়াছবি । সহজলভ্যও বটে ১৬ ।
কাজেই
ভূমিকালিপির উল্লেখ বাহুল্যমাত্র ।
উমানাথ ভট্টাচার্য (১৯২৩ –
১৯৯১) ছিলেন একাধারে নট, নাটককার, নির্দেশক ।
ম্যাক্সিম
গর্কি অবলম্বনে ‘নীচের মহল’, ‘ধনপতি গ্রেপ্তার’ ইত্যাদি নাটকের তিনি রচয়িতা ।
সম্ভবত
তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবিই ‘চারমূর্তি’ ।
‘চারমূর্তি’ (১৯৭৮) ছায়াছবির পরিচালক উমানাথ ভট্টাচার্য (১৯২৩ – ১৯৯১) । |
প্রায়
চার দশক প্রাচীন (১৩৮৪) ‘আনন্দমেলা’ পূজাবার্ষিকী ও শারদীয় ‘দেশ’-এ
প্রকাশিত হয় এই সচিত্র ‘আসছে’ সংবাদ ।
‘আনন্দমেলা’ পূজাবার্ষিকী ও শারদীয় ‘দেশ’-এ প্রকাশিত ‘চারমূর্তি’ ছায়াছবির বিজ্ঞাপন (১৩৮৪) । |
অবশেষে
এল ৫ ই মে ১৯৭৮ ।
পর্দায়
প্রথম টেনিদা ও ‘চার মূর্তি’ ।
বিজ্ঞাপন
এবং ফিলমের টাইটেল-দৃশ্যের কার্টুন আঁকলেন চণ্ডী লাহিড়ী (জন্ম - ১৯৩০) ।
‘চারমূর্তি’ ছায়াছবির বিজ্ঞাপন এবং চরিত্রলিপিতে ব্যবহৃত কার্টুন । শিল্পী ।। চণ্ডী লাহিড়ী ।
চার
মূর্তি-র চরিত্রে : টেনিদা - চিন্ময় রায়, প্যালা – শম্ভু গাঙ্গুলী, ক্যাবলা
– শিবাজী দেওয়ানজী, হাবুল –
কৃষ্ণ সাহা । |
দুটি চরিত্র হুবহু নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর উপন্যাস তথা শৈল চক্রবর্তী-র
গ্রন্থচিত্রণ থেকে উঠে এসেছিল :
স্বামী ঘুটঘুটানন্দ ও
ঝন্টিপাহাড়ির ঝন্টুরাম ।
কাহিনিচিত্রে
গজেশ্বর গাড়ুই মহাশয়ের ন্যাড়া মাথা, টিকি বেমালুম উধাও । বরং বাবরি চুলে
ফেট্টি বাঁধা ।
এটিও
হয়ত শৈল বাবুর অলংকরণের প্রভাবে ।
স্বামী ঘুটঘুটানন্দ, ঝন্টুরাম এবং গজেশ্বর গাড়ুই – গ্রন্থচিত্রণে (শিল্পী ।। শৈল চক্রবর্তী) ও চলচ্চিত্রে । |
অভিনয়ের
ক্ষেত্রে ?
গোড়াতেই
মনে আসে সন্তোষ দত্ত-র কথা ।
বিচিত্র বাচিক / শারীরিক অভিব্যক্তির ম্যাজিকে জ্যান্ত হয়ে উঠেছিল মেসোমশাই-এর মজাদার-রোমাঞ্চকর জোড়া শিকার-কিসসা ।
বিচিত্র বাচিক / শারীরিক অভিব্যক্তির ম্যাজিকে জ্যান্ত হয়ে উঠেছিল মেসোমশাই-এর মজাদার-রোমাঞ্চকর জোড়া শিকার-কিসসা ।
‘চারমূর্তি’-র
এই দৃশ্যেরই শুটিং-সমাচার বেরয় তৎকালীন ‘আনন্দলোক’ পত্রিকায় ।
ভবিষ্যৎ
টেনি-গবেষকদের জন্য এটিও সংরক্ষিত রইল BlOGUS ব্লগে ।
‘আনন্দলোক’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘চারমূর্তি’ ছায়াছবির শুটিং-সংবাদ । |
অন্তত
আরও একবার ‘চার মূর্তি’-র টেনিদা হয়েছিলেন অভিনেতা চিন্ময় রায়
(জন্ম - ১৯৪০) । তাঁরই নির্দেশনায়, শ্রুতি-মাধ্যমে ।
সেবারে
ঘুটঘুটানন্দ এবং মেসো-র চরিত্রে রূপদান করেন স্বনামধন্য দুই চট্টোপাধ্যায়
– যথাক্রমে তপেন ও শুভেন্দু ।
প্যালা আর ক্যাবলা-র ভূমিকায়
শেষোক্ত জনের দুই কিশোর পুত্র দীপু এবং অপু (শাশ্বত) ।
হাবুল - নির্দেশকের পুত্র টনি (শঙ্খ) রায় ।
হাবুল - নির্দেশকের পুত্র টনি (শঙ্খ) রায় ।
গত
শতাব্দীর নয়ের দশকের সেই বিস্মৃত ক্যাসেট ‘টেনিদা’-র চরিত্রলিপিও বোধহয় সংরক্ষণযোগ্য
।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর ‘চার মূর্ত্তি’ অবলম্বনে শ্রুতিনাটক ‘টেনিদা’-র ক্যাসেট ।
নির্দেশনা ও নামভূমিকায় –
চিন্ময় রায় । |
ক্যাসেট-সংস্করণে ‘চার মূর্ত্তি’ নাটক-আকারে সাজান বীরু চট্টোপাধ্যায় ।
এছাড়াও
এই বইটির আরও তিনখানি নাট্যরূপের খবর মিলেছে ।
উমানাথ ভট্টাচার্য-র লেখা
নাটকের লিস্টে রয়েছে ‘চারমূর্তি’ ১৭ ।
সেটির
অভিনয়-সংবাদ পাইনি ।
অভিনেতা-পরিচালক
শ্যামল সেন (১৯৩৬ – ১৯৯৩) এই কাহিনিকে নাট্যরূপ দিয়ে মঞ্চস্থ করেন অবন মহল-এ
(১৯৭৭) ।
সেই
প্রযোজনার নাম কী ছিল ?
‘টেনিদা’
১৮ ? ‘চারমূর্তির গোয়েন্দাগিরি’ ১৯ ?
না স্রেফ ‘চারমূর্তি’ ২০ ?
‘কম্বল
নিরুদ্দেশ’ উপন্যাসও নাকি পেশাদার থিয়েটারে পরিচালনা করেছিলেন শ্যামল সেন
১৮ ।
সেই
সঙ্গে ছয় পর্বের দূরদর্শন ধারাবাহিক ‘পটলডাঙ্গার টেনিদা’ ।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত
‘চার মূর্ত্তি’-র নাট্যরূপ দিয়ে মঞ্চস্থ করেন শ্যামল সেন (১৯৩৬ – ১৯৯৩) ।
রবি ঘোষ অভিনীত দূরদর্শন
ধারাবাহিক ‘পটলডাঙ্গার টেনিদা’-ও
তাঁর সৃষ্টি । |
তিন
নম্বর ‘চারমূর্তি’ নাটক (অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির, ১৩৬৫ ?)-এর নাম আছে স্বয়ং নারায়ণ
গঙ্গোপাধ্যায়-এর পুস্তক-তালিকায় ২১ ।
এই
নাট্যরূপ কি টেনিদা-জনকেরই ? নাকি পূর্বোল্লিখিত দুই নাট্যব্যক্তিত্বের ?
কেউ
সঠিক তথ্য জানাতে পারলে উপকৃত হব ।
খ) চিত্র-কাহিনি ‘চারমূর্তি’ ।
‘চার মূর্ত্তি’
নিয়ে তিনটি কমিকস বা চিত্র-কাহিনির সন্ধান পাওয়া গেছে ।
প্রথমটি ‘যুগান্তর’-এ বেরয় । সম্ভবত ১৩৭৯ সনে আঁকেন সুবোধ দাশগুপ্ত (১৯৩০ – ২০০৯) ।
দ্রষ্টব্য : BlOGUS ব্লগে ‘কমিকসে ‘চারমূর্তি’ - ১’ :
https://blogus-abogusblog.blogspot.in/2016/12/Charmurti-Comics-1.html
পরেরটি শশধর প্রকাশনী-র বই । সাল অজানা ।
রূপকার ছিলেন শিল্পী-সাহিত্যিক গৌতম রায় (জন্ম – ১৯৩৯) ।
প্রথমটি ‘যুগান্তর’-এ বেরয় । সম্ভবত ১৩৭৯ সনে আঁকেন সুবোধ দাশগুপ্ত (১৯৩০ – ২০০৯) ।
দ্রষ্টব্য : BlOGUS ব্লগে ‘কমিকসে ‘চারমূর্তি’ - ১’ :
https://blogus-abogusblog.blogspot.in/2016/12/Charmurti-Comics-1.html
পরেরটি শশধর প্রকাশনী-র বই । সাল অজানা ।
রূপকার ছিলেন শিল্পী-সাহিত্যিক গৌতম রায় (জন্ম – ১৯৩৯) ।
‘চারমূর্তি’ কমিকসের রূপকার গৌতম রায় (জন্ম – ১৯৩৯) । |
শ্রী
অরিজিৎ দত্ত চৌধুরী ও হাল আমলের টেনিদা-কমিকস অবিচ্ছেদ্য ।
‘এবেলা’
সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় তাঁর ধারাবাহিক চিত্র-কাহিনি ‘চারমূর্তি’ ।
শুরু : ১০ ই অক্টোবর ২০১৩ । শেষ : ২২ শে জুলাই ২০১৪ ।
অরিজিৎ দত্ত চৌধুরী-র ‘চারমূর্তি’ কমিকস, ‘এবেলা’, ১০-১০-২০১৩ । |
এর বাইরেও ‘চারমূর্তি’ কমিকস
থাকার সম্ভাবনা প্রবল ।
সে-বিষয়ে বিশদে বলবেন বিশেষজ্ঞবৃন্দ ।
বিশেষ-অজ্ঞ BlOGUS রণে ভঙ্গ দিচ্ছে ।
সে-বিষয়ে বিশদে বলবেন বিশেষজ্ঞবৃন্দ ।
বিশেষ-অজ্ঞ BlOGUS রণে ভঙ্গ দিচ্ছে ।
চার
চিয়ার্স ফর ‘চার মূর্ত্তি’ !
ইয়াক্
ইয়াক্ ! ইয়াক্ ইয়াক্ !
আপনাদের
প্রতিক্রিয়ার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষমাণ BlOGUS ব্লগ ।
সেই
সঙ্গে ফেসবুক-এর ‘BlOGUS. A Bogus blog’ গ্রুপ :
https://www.facebook.com/groups/BlogusBlog/
সাজানো হচ্ছে ‘টেনিদা ট্রেজারি’ ব্লগ :
https://www.facebook.com/groups/BlogusBlog/
সাজানো হচ্ছে ‘টেনিদা ট্রেজারি’ ব্লগ :
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
তথ্যসূত্র :
১ = ‘দধীচি, পোকা ও বিশ্বকর্মা’ ।
২ = ‘একটি ফুটবল ম্যাচ’
(১৩৬০) ।
৩ = ‘ক্রিকেট মানে ঝিঁঝিঁ’
(১৩৬১) ।
৪ = ‘বনভোজনের ব্যাপার’
(১৩৬১) ।
৫ = বড়গল্প ‘টেনিদা
ও সিন্ধুঘোটক’-এও তাই ।
হাবুল সেন-এর একটিমাত্র ফ্ল্যাশব্যাক-সংলাপ বাদ দিলে, ‘দি গ্রেট ছাঁটাই’ (১৩৬৫)-ও শুধুই টেনিদা-প্যালা-র কাহিনি ।
হাবুল সেন-এর একটিমাত্র ফ্ল্যাশব্যাক-সংলাপ বাদ দিলে, ‘দি গ্রেট ছাঁটাই’ (১৩৬৫)-ও শুধুই টেনিদা-প্যালা-র কাহিনি ।
৬ = যথাক্রমে ১৩৫৩ ও ১৩৫৪ সনে প্রথম
প্রকাশিত ।
৭ = “আমি, ক্যাবলা, হাবুল সেন,
আর সভাপতি আমাদের পটলডাঙার টেনিদা” ।
৮ = শুধু ‘ক্যামোফ্লেজ’-এ
একবার ছিল “হাবুল ঢাকাই ভাষায় বললে, পোলাপান ।”
৯ = ‘টেনিদা সমগ্র’, আনন্দ
পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, ১৯৯৬ ।
১০ = পূর্বোল্লিখিত ছ’টি
ছাড়াও ‘চামচিকে আর টিকিট চেকার’ (১৩৬০), ‘একটি ফুটবল ম্যাচ’ (১৩৬০), ‘কুট্টিমামার হাতের কাজ’ (১৩৬১), ‘বনভোজনের
ব্যাপার’ (১৩৬১) এবং ‘ক্রিকেট
মানে ঝিঁঝিঁ’ (১৩৬১) ।
‘চার মূর্ত্তি’ ধারাবাহিক চলাকালীন প্রকাশিত হয় টেনিদা-র আরও চারটি ছোটগল্প ।
‘চার মূর্ত্তি’ ধারাবাহিক চলাকালীন প্রকাশিত হয় টেনিদা-র আরও চারটি ছোটগল্প ।
১১ = ‘চার মূর্তি’ গ্রন্থে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর ভূমিকা, অভ্যুদয়
প্রকাশ-মন্দির, ১৩৬৩ ।
১২ = ‘চার মূর্ত্তি’ ধারাবাহিক চলাকালীন প্রকাশিত হয় এই গল্পের সমনামী নাট্যরূপ (‘রামধনু’,
কার্ত্তিক ১৩৬২) ।
ঐ
মাসের ‘শিশু সাথী’-তে ‘চার মূর্ত্তি’-র কোনো কিস্তি বেরয়নি । নাটকের
সাধু নামহীন ।
১৩ = দ্রষ্টব্য ‘ঘনাদা গ্যালারি’ ওয়েবসাইটে ‘নুড়ি’ (১৯৪৭) :
http://ghanada.wixsite.com/ghanada-gallery/short-stories-from-the-1940s
http://ghanada.wixsite.com/ghanada-gallery/short-stories-from-the-1940s
‘প্রেমেন্দ্র
মিত্রের সেরা গল্প’ (১৯৫০) বইটিও অলংকৃত করেছিলেন নরেন্দ্র দত্ত ।
১৪ = রবীন বল
রচিত নিবন্ধ, ‘কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান’, অক্টোবর – নভেম্বর ১৯৮৯ ।
১৫ = ‘চার মূর্তি’ বইয়ের শৈব্যা পুস্তকালয় সংস্করণ থেকে ।
উল্লিখিত
পঞ্চম মুদ্রণ (অভ্যুদয়
প্রকাশ-মন্দির) প্রকাশিত হয় বৈশাখ ১৩৭৬-এ (‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের কিশোর সম্ভার’
থেকে প্রাপ্ত তথ্য) ।
১৭ = ‘বাংলা
থিয়েটার অভিধান’ (২০০৭), প্রয়াগ প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ১৭ ।
১৮ = ‘নাট্য
আকাদেমি পত্রিকা ৪’ (১৯৯৪), তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, পৃষ্ঠা ৪৫৯ ।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা কৌশিক সেন হলেন শ্যামল সেন-এর সুযোগ্য পুত্র ।
১৯ = ‘সংসদ বাংলা নাট্য অভিধান’ (২০০০), শিশু সাহিত্য সংসদ প্রা. লি., পৃষ্ঠা ৫৫৯ ।
‘The Story of the Calcutta Theatres 1753 - 1980’ (Year Unknown), K P Bagchi & Company, Page 766.
প্রসঙ্গত, অভিনেতা কৌশিক সেন হলেন শ্যামল সেন-এর সুযোগ্য পুত্র ।
১৯ = ‘সংসদ বাংলা নাট্য অভিধান’ (২০০০), শিশু সাহিত্য সংসদ প্রা. লি., পৃষ্ঠা ৫৫৯ ।
‘The Story of the Calcutta Theatres 1753 - 1980’ (Year Unknown), K P Bagchi & Company, Page 766.
২০ = ‘সংসদ
বাংলা নাট্য অভিধান’ (২০০০), শিশু সাহিত্য সংসদ প্রা. লি., পৃষ্ঠা ১৯৩ ।
২১ = ‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়’
(১৯৯৬), সরোজ দত্ত, পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, পৃষ্ঠা ৬৮ ।